প্রথম প্রান্তিকে ৪,২৩৫ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

এ সময়ে সরকারি ব্যাংকের চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণে এগিয়ে রয়েছে। তবে বেসরকারি ও বিদেশি খাতের অন্তত ৭টি ব্যাংক কোনো ঋণ বিতরণ করেনি। ব্যাংকগুলো হলো – ব্যাংক আল ফালাহ, সিটি ব্যাংক এনএ, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ওরি ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংক।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর শেষে সরকারি আট ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণ করেছে মাত্র ১,৪৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। পুরো অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে কৃষিতে সরকারি ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯,৫৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, এ সময়ে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো মিলে কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ২,৭৬০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যা ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০,৮১০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অর্থবছর শেষে কোনো ব্যাংক ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে; অনর্জিত অংশের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট রাখতে হবে। উক্ত জমাকৃত অর্থের ওপর কোনরূপ সুদ দেয়া হবে না। এ পর্যায়ে, কোনো ব্যাংক যদি পরবর্তী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে আগের অর্থবছর বা বছরসমূহের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ সম্পূর্ণ বা আংশিক বিতরণ করতে পার, সেক্ষেত্রে জমাকৃত বা কর্তনকৃত অর্থ সম্পূর্ণ বা আনুপাতিক হারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহকে ফেরত দেয়া হবে।
চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০,৪০০ কোটি টাকা।