জানুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি : প্রধানমন্ত্রী
গল্পঃ অমানুষ

সাইফুল ইসলাম :
“দোস্ত তুই রাব্বির বউ দেখছিস?”
“নারে দোস্ত একটা কাজে বগুড়া চলে গিয়েছিলাম তাই বিয়েতে থাকতে পারিনি। শুনলাম রাব্বির বউ নাকি অনেক সুন্দর?”
“আরে দোস্ত বলিস না বউ তো না পুরাই আগুন! সেই একটা মা… রে দোস্ত! যেই সে… ফিগার দেখলে মাথা ঠিক রাখা কঠিন! সজীব নাকি বিয়ে থেকে এসে সেই রাতে আর ঠিকমতো ঘুমাতেই পারে নি। সারারাত নাকি রাব্বির বউকেই স্বপ্নে দেখেছে।”
“শুধু কি স্বপ্ন দেখেছে নাকি আবার স্বপ্ন… হয়েছে?
হা… হা… হা…
এভাবেই গলির চায়ের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে জয় আর শামীম রাব্বির বউকে নিয়ে অশ্লীল গল্প করে মজা নিচ্ছে। জয়, শামীম, সজীব ওরা রাব্বির বন্ধু। ওদের দশ-পনের জনের একটা বড় গ্রুপ আছে সেই কলেজ লেবেল থেকেই ওরা বন্ধু। আড্ডা, ফাজলামি, ঘুরাঘুরি কিংবা মাঝ রাতে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া সবকিছুতেই এই গ্রুপের সবাই হাজির থাকে। গত শুক্রবারে ওদের গ্রুপের রাব্বি বিয়ে করেছে। রাব্বি একটি বেসরকারি কোম্পানীর সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার। রাব্বি আর প্রভার বিয়ে হয়েছে দুই পরিবারের পছন্দে।
জয় দোকান থেকে একটা সিগারেট এনে ধরালো। এমন সময় সজীবের আগমন ঘটে। সজীবকে দেখেই জয় বলে উঠলো,
“কিরে সজীব, বিয়ে করেছে জয় আর তোর নাকি রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে!”
“জয় দোস্ত কি বলব রাব্বির কপালে যে এতো সুন্দরী একটা বৌ জুটবে ধারনার বাইরে।”
জয় আর সজীবের কথা শুনে শামীম বলল,
“তোদের কথা শুনে মনে হচ্ছে জগতে সুন্দরী মেয়ে যেন এই একটাই।”
“আরে তুই তো দেখিস নি দেখলে এসব কথা বলতে পারতি না।”
কথাটা সজীব শামীমকে বলল।
“তা আমাদের ভাগ্যবান রাব্বি কোথায় এখন?”
শামীম জানতে চাইলো।
“আসলেই তো রাব্বির তো আজকে কোনো খোঁজ নেই। এই জয় তোর তো জানার কথা।”
“জানি তো। রাব্বি তো শশুর বাড়িতে। কাল বিকেলে আসবে।”
“আসলে আমি রাব্বির বউকে দেখতে যাবো।”
“সাবধানে যাইস শামীম আবার রূপের ঝলকানিতে যেন পুড়ে না মাস! হা হা হা হা…
সবাই উচ্চস্বরে হেসে উঠলো।
পরদিন সন্ধ্যা।
জয়, শামীম ও সজীব রাব্বির বাড়িতে গেল রাব্বির সাথে দেখা করতে। তবে তাদের আসল উদ্দেশ্য রাব্বির বউকে দেখা। রাব্বির পরিবারে রাব্বির মা, প্যারালাইজড বাবা আর রাব্বি ও প্রভা। রাব্বির দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। কলিং বেল দিতেই রাব্বির মা এসে দরজা খুলে দিলেন।
“আরে তোমরা যে! এসো এসো ভেতরে এসো।”
“আন্টি রাব্বি কোথায়?”
“ওহ তো বাইরে বাবা। কল দাও নি?”
“না মানে রাব্বি বলেছিলো আজকে বিকালে শশুরবাড়ি থেকে চলে আসবে তাই কল না দিয়েই চলে এসেছি। আসলে শামীম তো বিয়েতে থাকতে পারে নি তাই রাব্বি ও ভাবীর সাথে দেখা করতে আসা।”
“ওহ্ আচ্ছা, আসলে রাব্বির কি একটা জরুরী কাজ আছে বলেই বেরিয়ে গেল।”
“তোমরা বসো আমি তোমাদের জন্য মিষ্টি নিয়ে আসছি।”
ওদের ড্রয়িং রুমে বসতে বলে উনি ভেতরের রুমে চলে গেলেন।কিছুক্ষণ পরেই রাব্বির মা ওদের জন্য ট্রে তে করে মিস্টি, পিঠা, ফলমূল নিয়ে এলেন।
“বাবা তোমরা খাও এরমধ্যে আমি রাব্বিকে কল দিয়ে দেখছি ওর আসতে কত সময় লাগবে।”
“আন্টি আমি কল দিচ্ছি দেখি ও কোথায় আছে।”
জয় রাব্বিকে কল দিলো।
“কিরে দোস্ত কোথায় গিয়ে লুকিয়ে আছিস? আমরা তো তোর বাসায়।”
“আমরা মানে কে কে?”
“আমি, শামীম আর সজীব।”
“কল দিয়ে আসবি না তোরা।”
“আরে তুই তো বলেছিলি আজকে চলে আসবি। কে জানতো সুন্দরী বউ রেখে আজকেই কাজে চলে যাবি।”
“মা কোথায় রে?”
“আন্টি রুমে চলে গেছেন। সমস্যা নাই।”
“দোস্ত আমার তো আসতে অনেক দেরী হয়ে যাবে। কি করবি তোরা বসবি না কি চলে যাবি?”
“চলে যাব কি রে? এতো কষ্ট করে এসেছি ভাবীর সাথে দেখা না করেই চলে যাব?”
“তাহলে তোরা বস আমি প্রভাকে কল দিয়ে বলছি।”
“ঠিক আছে দোস্ত আমরা অপেক্ষা করছি।”
রাব্বি কল কেটে দিয়ে প্রভাকে কল দিলো।
“হ্যালো, প্রভা কি করছো?”
“তেমন কিছু না। তোমার বন্ধুরা এসেছে তাই উনাদের জন্য নাস্তা তৈরি করে দিতে বলল মা সেটা দিয়ে এখন বসে আছি। তুমি কখন আসবে?”
“আমার তো দেরী হবে আসতে। তুমি ওদের সাথে একটু দেখা করে কথা বলো না।”
“তুমি বাসায় নেই আমি একা উনাদের সামনে যাবো?”
“সমস্যা নেই তো ওরা আমার অনেক পুরনো বন্ধু।”
“ঠিক আছে তাই বলে তুমি ছাড়া আমি একা উনাদের সামনে যাই কেমন করে।”
“শামীম বিয়েতে থাকতে পারে নি। ওরা সবাই এসেছে তুমি দেখা না করলে মাইন্ড করতে পারে। প্লীজ লক্ষিটি একটু দেখা করে চলে এসো।”
“আচ্ছা ঠিক আছে দেখছি কি করা যায়।”
“লাভ ইউ জান। এই শোন লক্ষি।”
“আবার কি হলো?”
“ওদের সামনে একটু সাজগোজ করে যেও। ওরা দেখুক আমার জান কত সুন্দর।”
“ঠিক আছে এখন রাখছি আমার তৈরি হতে তো সময় লাগবে।”
“ঠিক আছে।”
প্রভা কল কেটে দিয়ে রাব্বির মা কে গিয়ে বলল,
“আপনার ছেলে কল দিয়েছিলো।”
“কি বলল? কখন আসবে ও?”
“আসতে না কি অনেক দেরি হবে। তাই বলল আমি যেন আপনার ছেলের বন্ধুদের সাথে দেখা করে কথা বলি।”
“ঠিক আছে তাহলে তুমি তৈরি হয়ে আসো আমি ওদের বসতে বলি।”
“মা আমার কেমন যেন লজ্জা লাগছে।”
“লজ্জার কিছু নাই। ওরা রাব্বির অনেক পুরনো বন্ধু। সবসময়ই আমাদের বাড়িতে আসে। তুমি যাও মা তৈরি হয়ে নাও।”
“ঠিক আছে মা।”
কিছুক্ষণ পর প্রভা সাজগোজ করে রাব্বির বন্ধুদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। প্রভাকে দেখেই শামীম বসা থেকে উঠে হা করে দাঁড়িয়ে পড়লো। সাথে সাথে জয় শামীমকে টেনে বসিয়ে দিল।
শামীম বসে প্রভাকে বলল,
“একি ভাবী দাঁড়িয়ে কেন বসুন না।”
প্রভা ওদের সামনে সোফায় বসলো। প্রভার খুব লজ্জা লাগছে। প্রভা যদিও ঢাকার মেয়ে তবে এতটাও মডার্ন না যে তিনজন পুরুষের মধ্যে বসে গল্প করবে।
“একি ভাবী রাব্বি কি আপনাকে রাতে ঘুমাতে দিচ্ছে না? চোখের নিচে কেমন কালো হয়ে গেছে।” কথাটা সজীব বলল।
ওরা নানারকম দুষ্টু দুষ্টু কথা বলছে প্রভাকে। প্রভা যদিও ওদের সামনে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে কিন্তু প্রভার এসব কথায় খুব লজ্জা লাগছে। প্রভা তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের মাঝখান থেকে উঠে যেতে চাচ্ছে। প্রভা আল্লাহকে ডাকতে লাগল,
“আল্লাহ তাড়াতাড়ি ওদের বিদায় করার ব্যবস্থা করো।”
আর তখনই প্রভার মোবাইলে কল এলো।
“ভাই আমার কল এসেছে যেতে হবে আপনারা বসুন।”
“না ভাবী আজকে উঠতে হবে।” জয় বলল।
“বসুন না আপনাদের বন্ধু চলে আসবে।”
“আজকে না ভাবী আবার তো আসতেই হবে মিষ্টি ভাবীকে দেখতে।”
কথাটা শামীম বলেই প্রভাকে চোখ টিপ দিল। প্রভা খুব বিব্রত বোধ করে বলল।
“ঠিক আছে তাহলে আমি রুমে যাচ্ছি।”
ওরা চলে গেল। রাতে রাব্বি যখন বাসায় ফিরলো তখন প্রভা ওর বন্ধুদের কথাবার্তাগুলো রাব্বিকে বলল। সবকিছু শুনে রাব্বি তো হেসেই খুন। রাব্বি প্রভাকে বলল,
“আরে ওরা বন্ধু মানুষ এরকম একটুখানি দুষ্টুমি তো করবেই। এ নিয়ে তুমি এতো ভাবছো কেন? ওরা আমার অনেক পুরনো বন্ধু। খুব ভালো ওরা শুধু একটু দুষ্টু প্রকৃতির।”
“আর ঐ যে শামীম উনি যে চোখ মারলো আমাকে সেটা কি বলবে?”
“প্রভা এসব কি ধরনের কথা তুমি এগুলো স্বাভাবিকভাবে নাও।”
কিন্তু প্রভার বিষয়গুলো ভালো লাগেনি। প্রভা রাগের স্বরেই রাব্বিকে বলল,
“আমি এসব স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না। পারছিনা।”
“এসব নিয়ে তোমার সাথে আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। আমি ফ্রেশ হয়ে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়ব। টেবিলে খাবার দাও।”
প্রভা টেবিলে খাবার দিতে দিতে ওর শ্বাশুড়িকেও কথাগুলো বলছিলো কিন্তু রাব্বি সেগুলো শুনে ফেলল। রাব্বি এবার প্রভার উপর খুব রেগে গেল। এই ছোট্ট বিষয়টি নিয়ে প্রভা কেন এমন করছে সেটাই রাব্বি বুঝে উঠতে পারছে না।
পরদিন সন্ধ্যা।
রাব্বি চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। এখানে এক পর্যায়ে প্রভার প্রসঙ্গ চলে আসে। কথাগুলো দুষ্টুমির পর্যায়ে আর নেই এখন তিনজনেই রাব্বিকে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে লাগলো। নিজের বউকে নিয়ে এসব কথা রাব্বির কাছে ভালো লাগলো না। রাব্বি আচমকা জয়কে চড় মেরে বসলো। জয়ও রাব্বিকে মারলো। ওদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল। শামীম আর সজীব রাব্বিকে থামানোর চেষ্টা করছে রাব্বি শামীম আর সজীবকেও গালমন্দ করতে লাগলো। একপর্যায়ে রাব্বি শান্ত হয়ে ঐখান থেকে চলে আসে।
এরপর বেশকিছু দিন আর রাব্বি কারো সাথে দেখা করে নি। কথাও বলেনি।
মাসখানেক পার হয়ে যায়।
“কিরে জয় তুই না বলেছিলি রাব্বি বাসায় থাকবে না ওর বউ বাসায় একা।”
“আরে আস্তে কথা বল শুনে ফেলবে তো। আরে আমি তো জানতাম রাব্বি কক্সবাজার যাবে কিন্তু ও বাসায় কেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। ওর মা গেছে ওর বোনের বাসায়। বাবা তো বিছানায় পড়ে আছে। ভেবেছিলাম বাসা খালি থাকবে আর এই সুযোগে সেই চড় মারার প্রতিশোধ নিবো।
“তাহলে এখন কি করবি? চলে যাবি?”
“আরে না যে কাজ করতে এতদিন ধরে অপেক্ষা করছি সে কাজ না করেই চলে যাবো! কখনো না।”
“কিন্তু রাব্বি তো আমাদের চিনে ফেলবে।”
“দাঁড়া আমাকে ভাবতে দে।”
“তাড়াতাড়ি ভাব বাইরে সজীব ও তাপস অপেক্ষা করছে। ওদের কিন্তু বেশিক্ষণ কন্ট্রোল করতে পারবো না।”
“তুই যা ওদের একটু অপেক্ষা করতে বল আমি দেখি বাসায় আর কে কে আছে।”
কিছুক্ষণ পর জয় কলিং বেল দিলো। রাব্বি এসে দরজা খুলে দিয়ে বলল,
“জয় তুই এই সময়ে আমার বাসায়?”
“খুব জরুরি কাজ আছে তাই আসতে হলো।”
“কি জরুরী কাজ? তাছাড়া তোদের সাথে তো আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই তাই কোনো কাজ থাকার কথা নয়।”
“দাঁড়া বলছি। এই তোরা আয় তো।”
জয় ওদের সবাইকে ডাক দিলো। রাব্বি কিছু বলার আগেই সবাই রাব্বির বাসার ভেতর ঢুকে গেল।
“একি জয় তোরা এভাবে বাসায় ঢুকলি কেন?”
“কাজ করতে। বললাম না জরুরী কাজ আছে।”
“তোরা বন্ধু হয়ে আমার বাড়িতে ডাকাতি করতে এসেছিস?”
“কিসের বন্ধু? কার বন্ধু? আগের কথা ভুলে যা।”
এতোক্ষণে প্রভাও চলে এসেছে ড্রয়িং রুমে।
“আরে আমার সে… ভাবী! আসুন.. আসুন আপনার জন্যই তো এতো আয়োজন।”
“কি ব্যাপার আপনারা সবাই এখানে কি করছেন, কেন এসেছেন?”
“বুঝতে পারছেন না ভাবী? এতো দিন তো রাব্বির সাথে …. হয়েছে আজকে আমাদের সাথে …. হবে!”
“চুপ কর এতো বড় সাহস তোদের…!”
সজীব আর শামীম মিলে রাব্বিকে ধরে ফেলল। রাব্বি ওদের গালাগাল দিতে লাগলো। এদিকে জয় আর তাপস প্রভাকে ধরে ফেলল।
“তোরা কি করতে চাচ্ছিস? খবরদার তোরা প্রভাকে কিছু করবি না।তাহলে তোদের আমি খুন করে ফেলব।”
সজীব আর শামীম সমানে রাব্বিকে মারতে লাগলো। ওরা দুজন মিলে রাব্বিকে চেয়ারের সাথে বেঁধে ফেলল। তারপর চারজন মিলে প্রভার উপর পাশবিক নির্যাতন চালালো। রাব্বি কিছুই করতে পারলো না। ওরা চলে যাওয়ার পর প্রভা বিবস্ত্র অবস্থায় এসে রাব্বির সামনে দাঁড়ালো। তারপর প্রভা রুমে চলে গেল। সারারাত প্রভা আর রুম থেকে বের হয়নি। আর রাব্বি চেয়ারের সাথে বাঁধা রয়ে গেল। সকাল বেলা লোকজন এসে দেখলো রাব্বি চেয়ারে নির্বাক বসে আছে আর রুমে প্রভা ফ্যানের সাথে ঝুলে রয়েছে। এই অবস্থা দেখে লোকজন পুলিশে খবর দিলো। পুলিশ এসে লাস্ট পোস্টমর্টেম করতে পাঠিয়ে দিলো। রাব্বিকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। কিন্তু রাব্বির কিছু বলার শক্তি আর নেই। রাব্বির বাবা পুলিশকে সব খুলে বলল। রাব্বির বাবা প্যারালাইজড হলেও কথা বলতে পারেন।
পুলিশ ওদের চারজনকেই গ্রেফতার করে। ওদের রিমান্ডে নেওয়া হলে ওরা সবকিছু স্বীকার করে। আদালত হয়তো ওদের ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিবেন। কিন্তু ওদের মতো অমানুষের জন্য প্রভাকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে, রাব্বি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে তার কোনো ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়।
সমাপ্ত।।।
#বিঃদ্রঃ এটি বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে লেখা একটি সচেতনতামূলক গল্প। গল্পটা ভালোভাবে বুঝানোর জন্য কিছু এডাল্ট শব্দ ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু শালীনতা রক্ষার্থে এডাল্ট শব্দগুলো সম্পূর্ণ লেখা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছি তাই পাঠকদের কষ্ট করে বুঝে নিতে হবে এবং এডাল্ট শব্দ ব্যবহার করার জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আপনারা। আমি সবসময় চেষ্টা করি সচেতনতামূলক ও শিক্ষণীয় গল্প লেখার জন্য।