জানুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি : প্রধানমন্ত্রী
ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ গ্রেপ্তারে বাঁধা নেই

ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ গ্রেপ্তারে বাঁধা নেই
জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশকে গ্রেপ্তার করা সময়েয দাবী।
কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলায় করা হয়েছে।
মামলায় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ অভিযুক্ত ৯ আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।
কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩, (টেকনাফ) -এর বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে নালিশি অভিযোগ দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া।
পরে আদালত নালিশি আবেদনটি টেকনাফ থানা পুলিশকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে র্যাব-১৫ কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের র্নিদেশ দেন।
এ বিষয়ে কথা হলে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি রাত ১০টায় থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। আইন অনুসারে এ ধরনের মামলায় আলাদা করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। এসব মামলা নথিভুক্ত হলেই আসামিদের গ্রেফতারের ক্ষমতা রাখেন তদন্ত কর্মকর্তা। সে হিসেবে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ মামলার আসামি বাকি ৯ পুলিশ সদস্য।
মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করে আরও ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
এদিকে টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ সিনহা নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের একদিন আগে নিজেকে ‘অসুস্থ’ দাবি করে ছুটি নেন তিনি।
৫ আগস্ট পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বুধবার টেকনাফের ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করা হয়নি। থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এ বি এম দোহাকে ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।