জানুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি : প্রধানমন্ত্রী
রাম রহিম ‘জঙ্গলের পশু’!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংকে দেশটির আদালত ‘জঙ্গলের পশু’ বলে অভিহিত করেছে। আর ‘পশু’ হবার কারণেই এই মামলার রায় তার উদারতা পাবার কোনো অধিকার নাই বলেও উল্লেখ করেছে আদালত।
গতকাল সোমবার রায় ঘোষণার সময় বিচারক জগদীপ সিং বলেন, রাম রহিম তার জিম্মায় নিজের ‘পব্ত্রি সাধ্বীকে’ ধর্ষণে করে গুরুতর অপরাধ করেছেন। তার সর্বোচ্চ শাস্তিই হওয়া দরকার।
স্বঘোষিত এ ধর্মগুরু ১৯৯৯- ২০০২ সাল সময়ে দুইজন নারী ভক্তকে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই দুই নারীর একজন একটি চিঠি লিখে ততকালীন প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানান। চিঠিটি প্রকাশের পরেই সিবিআই ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
মামলার রায় ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপক্ষের (সিবিআই) আইনজীবীরা তার মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানান।
গত শুক্রবার সিবাআই আদালত তাকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তবে তারপরই তার অনুসারীরা সহিংস হয়ে উঠেন। এরপর পুলিশের সঙ্গে বাধে সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষ প্রায় ৩৮ জন নিহত হন। তাই ফের সহিংসতার আশঙ্কায় আদ্লত নিজেই কারাগারে গিয়ে রায় ঘোষণা করে।
রায় ঘোষণার সময় বলা হয় ,ধর্ষণের শিকার ঐ নারীরা তাকে স্রষ্টার আসনে বসিয়েছেন। কিন্ত এ ধরনের বিশ্বাসপ্রবণ ও অন্ধ ভক্তদের ধর্ষণ করে রাম রহিম গুরুতর প্রকৃতির বিশ্বাস ভঙ্গ করে।
রাম রহিমকে ক্ষমতাধর ব্যক্তি উল্লেখ করে বিচারক বলেন,তাকে সঠিক দণ্ড প্রদানের মাধ্যমের ক্ষমতাধর অপরাধীদের কাছে বার্তা পৌঁছানো হয়েছে।
সর্বোচ্চ শাস্তির তুলনায় তাকে কম শাস্তি দেওয়া হলে জাতির বিবেক মর্মাহত হবে বলে তিনি বলেন।
সবশেষে তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচারক বলেন, রাম রহিম তার দুই ‘পবিত্র সাধ্বীকে’ ছাড় না দিয়ে পশুর মতো আচরণ করেছেন। তাই তিনি কোনো করুণা পাওয়ার যোগ্য নয়।